খুলনা টাইগার্স এর বিপক্ষে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রাইডার্স মুখোমুখি হয়। এদিন রংপুরের অধিনায়ক সোহান টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। খুলনা টাইগার্সের হয়ে ওপেন করতে নামেন জাতীয় ওয়ানডে দলের ওপেনার তামিম ইকবাল ও লোকাল খেলোয়াড় হাবিবুর রহমান সোহান।
খুলনার ওপেনিং একদমই ভালো হয়নি। শুরুতেই তামিম ইকবাল ৪ বল মোকাবেলা করে মাত্র ১ রান করে আজমত উল্লাহ ওমারজায়ীর বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তামিমের পরে শারজিল খান নেমে কিছুটা ধরে খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু অন্যদিকে হাবীবুর সোহান ১১ বল খেলে মাত্র একটি ৪ এর বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রকিবুল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন।
এর পর উইকেট আসেন আগের ম্যাচে ঢাকার মাটিতে খুলনার হয়ে সেঞ্চুরী করা আজম খান। তিনি উইকেটে আসার পর অন্য দিক থেকে ১২ বলে ১২ রান করে আউট হয়ে যান শারজিল। শারজিল ফেরার পরে উইকেটে আসে খুলনার অধিনায়ক ইয়াসির আলী। ইয়াসির আলী ও আজম খান একটা জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও সেই জুটি বেশিক্ষন টেকেনি। ২২ বলে ২৫ রান করে ইয়াসির আলী রকিবুলের বলে ক্যাচ তুলে দিলে ভাঙে এই জুটি। অন্য ক্রিকেটার আজম খান ২৩ বলে ৩৪ রান করে আউট হন।
এর পর মাঝের দুই ব্যাটার সাব্বির রহমান ২ বলে ১ আর আমাদ ভাট ৭ বলে ৪ রান করে দ্রুত আউট হয়ে ফেরেন। শেষের দিকে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও নাহিদুল ইসলাম কিছু রান যোগ করে একটা দেখানোর মতো স্কোর দাঁড় করেন। সাইফুদ্দিন ১৮ বলে ২২ আর নাহিদ ইসলাম ৮ বলে ১৫ রান করে আউট হন। শেষের দুই ক্রিকেটার মিলে আরো ৫রান যোগ করেন। ফলে ১৯.৪ ওভারেই ১৩০ রান নিয়েই শেষ হয়ে যায় সব উইকেট।
এর পর ১৩১ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নামে রংপুর রাইডার্স। রংপুরের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে আজ সোহান আর ইয়াসির আলীর দলের খারাপ খেলার কম্পিটিশন চলছে। রংপুরের হয়ে রনি তালুকদার ৭ বলে ১, আয়ুব ৯ বলে ১০, মেহেদী আহসান ১২ বলে ১৪, মোহাম্মদ নাইম ২২ বলে ২১ অর্থাৎ উপরের সারির কেউই ভালো কিছু করে দেখতে পারেনি।