আজ ফরচুন বরিশাল বনাম রংপুর রাইডার্স ম্যাচে টস করতে আসেন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। বরিশাল টসে জয় লাভ করলে অধিনায়ক সাকিব আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন।
রংপুর রাইডার্সের হয়ে ওপেনিং করতে আসেন মোহাম্মদ নাঈম ও রনি তালুকদার। আগের ম্যাচের মত এই ম্যাচেও মোহাম্মদ নাঈম ব্যার্থ হন। সাকিবের প্রথম বল মোকাবেলা করতে গিয়েই উইকেট কিপার বিজয়ের তালুবন্দি হন। ১ বল মোকাবেলা করে ০ রানেই ফিরতে হয় তাকে। অন্যদিকে রনি তালুকদার আজো দেখে শুনে বাউন্ডারি হাঁকিয়েই খেলতে থাকেন।
উইকেটের এক প্রান্ত রনি তালুকদার ধরে বসলেও অন্য প্রান্তে কেউই স্থির হতে পারছিলেন না। একের পর এক উইকেটে আসেন আর ফিরে যান। মেহেদী হাসান এবাদতের বলে ৭ বলে ৬ রান করে ফেরেন। সিকান্দার রাজা ৭ বল খেলে দুই রান করে ডিসিলভার বলে আউট হন। অন্যদিকে ২৮ বল খেলে ৪০ রান করে ফিরে যান রনি তালুকদার।
এর পর সোয়েব মালিক এসে কিছুক্ষন ধরে খেলার চেষ্টা করেন। তার সাথে নুরুল হাসান বল দেখে খেলতে গিয়েও পারলেন না। ১২ বল খেলে তিনি করেন ১২ রান।
এর পর বেণী হাওয়েল সোয়েব মালিকের সাথে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনিও ব্যার্থ হয়ে ফিরে যান। বেণী হাওয়েল ১০ বলে ৫ আর আজমতুল্লাহ ৫ বলে ১ রান করেন।
শেষদিকে রবিউল হক মালিকের সাথে কিছু রান সংগ্রহ করেন। রবিউল ১৫ বলে ১৮ রান করেন। মালিক ৩৬ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকনে। অবশেষে রংপুরের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৫৮ রান। ১৫৯ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নামে বরিশাল।
বরিশাল ১৫৯ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে খুব বেশী বেগ পেতে হয়নি জয়ের জন্য। মিরাজের ৪৩ আর ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটিংয়েই জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো। শেষ দিকে ইফতেখার আহমেদ ও করিম জানাতের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছারে বরিশাল। এই বিপিএলে এটাই তাদের প্রথম জয়।