কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স – ১৪৫/৬ (২০ওভার)
আজ সিলেট স্ট্রাইকার্স বনাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ম্যাচে সিলেট টসে জিতে বোলিং এর সিদ্ধান্ত নেয়। এদিন মাশরাফি নিজেই টস করতে আসেন। কুমিল্লার হয়ে এদিন ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে আসে লিটন দাস ও ডেভিড মালান। দেখেশুনে ব্যাটিং শুরু করলেও উদ্বোধনী জুটি দীর্ঘস্থায়ী হলো না। শুরুতেই লিটন দাস থিসারা পেরেরার বলে মোহাম্মদ হারিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ৪ বল মোকাবেলা করে ৮ রান করেন তিনি।
লিটন ফেরার পরে সৈকত আলী উইকেটে আসেন। বেশ ব্যাট চালিয়ে খেলছিলেন সৈকত। কিন্তু তিনিও খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেন নি। ১২ বল খেলে ইমাদ ওয়াসিমের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। এদিন কুমিল্লার ক্যাপ্টেন ইমরুল কায়েস অবশ্য বলার মতো কোনো রান করতে পারেন নি, তিনি উইকেটে এসে ৩ বল মোকাবেলা করে মাত্র ২ রান করেই মোহাম্মাদ আমিরের বলে আকবর আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
একদিকে উইকেট পরছিলো অন্যদিকে ডেভিড মালান দেখেশুনে উইকেটে টিকে রইলেন। এদিন জাকের আলী মাঠে এসে অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখান। তিনি ৪৩ বল মোকাবেলা করে তিনটি ছয় ও দুটি চার মেরে নিজের অর্ধশত রান পূরণ করেন। ৫৭ রান করে আউট না হয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।
এর আগে ডেভিড মালান ৩৯ বল খেলে ৩৭ রান করে ফেরেন। বাকি ব্যাটাররা বলার মতো তেমন কোনো রান করতে পারেন নি। মোসাদ্দেক ৫, মোহাম্মদ নাবী ৮ ও আবু হায়দার রনি ৭ রান করে ১৪৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় কুমিল্লা।
১৫০ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নামে মাশরাফির সিলেট। সিলেটের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ হারিস। তবে সিলেটের ওপেনিং জুটিও কুমিল্লার মত মুখ থুবড়ে পরে। শুরুতেই ৩ বল খেলে ৬ রান করে মোহাম্মদ হারিস আবু হায়দার রনির বলে লিটনের গ্লাভস বন্দি হন।
হারিস ফিরতেই উইকেটে আসেন তৌহিদ হৃদয়, আগের ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা হৃদয় এই ম্যাচেও দেখালেন চমক। তার ব্যাটিং দেখে রীতিমত অনেকেই অবাক হয়েছেন। বলা চলে এই বিপিএলে তিনি এখন পর্যন্ত সেরা উদীয়মান। আজও হৃদয় ৩৭ বলে ৫৬ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন। মুস্তাফিজের বলে দুর্দান্ত ৬ মারতেও দেখা যায় তাকে। কিন্তু নিজের হাফ সেঞ্চুরী পূরণ করে করে বসেন এক ভুল। খুশদিল শাহর বলে মারতে গিয়ে সামনে এগিয়ে বল মিস করেন। আর তাতেই ঘটে বিপদ। উইকেট কিপার লিটন স্ট্যাম্প ভাঙতে মিস করলেন না। চারটি ৬ আর তিনিটি ৪ মেরে ৫৬ রান করে ফিরে যান তিনি।
এর পর উল্লেখযোগ্য জাকির হাসান ২০, মুশফিক ২৮ রান করায় ৫ উইকেটের সহজ জয় পায় সিলেট।