খুলনা টাইগার্স বনাম সিলেট স্ট্রাইকার্স এর মধ্যেকার বিপিএলের ২৫তম ম্যাচে খুলনা টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত জানায়। এই ম্যাচে খুলনার হয়ে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামেন খুলনার অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও এভিন লুইস। শুরু থেকেই ধীরে খেলতে শুরু করে খুলনা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে এভিন লুইস ১০ বল খেলে ১২ রান করে ফিরে গেলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। লুইস ফেরার পরে বিজয়কে সঙ্গ দিতে ব্যাটিংয়ে আসেন আফিফ হোসেন। আফিফ ভালোই খেলছিলেন কিন্তু বেণী হাওয়েল এর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এলবিডাব্লিউ এর ফাঁদে পরে ১৬ বলে ২৪ রান করে ফেরেন আফিফ। আফিফ ফিরতেই মাহমুদুল হাসান জয় ব্যাটিংয়ে আসলেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি। ৬ বল মোকাবেলা করে মাত্র ১ রান করে ফিরে যান তিনি। এক দিকে ধীর ব্যাটিংয়ে উইকেটে টিকে ছিলেন অধিনায়ক বিজয়। এর পর অবশ্য হাবিবুর রহমান সোহান নেমে দলের হাল ধরেন। বিজয় ও সোহান দুজনে মিলে দুর্দান্ত খেলছিলেন। শেষের দিকে দুজনেই চালিয়ে খেলছিলেন। অধিনায়ক বিজয় ৫৮ বল খেলে পাঁচটি ৪ ও দুইটি ৬ এর সাহায্যে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। অন্য দিকে হাবিবুর করেন ৩০ বলে ৪৩ রান। দুজনে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৫৩ রান যোগ করেন। সিলেটের হয়ে সানজামুল, সামিত প্যাটেল ও বেণী হাওয়েল একটি করে উইকেট নেন।
১৫৪ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেছিলেন সিলেটের দুই ওপেনার হ্যারি টেক্টর ও সামিত প্যাটেল। তবে তাদের এই জুটি অবশ্য বেশি দূর যায়নি। ৯ বলে ১৩ রান করে সামিত প্যাটেল আউট হলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
এর পর নাজমুল হোসেন শান্ত নেমেও ১৬ বলে ১৮ রান করে আউট হয়ে ফেরেন। জাকির হাসান অবশ্য এই ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি। তিনি ২ বল মোকাবেলা করে ০ রানে আউট হয়ে ফিরেছেন। এর পর সিলেটের অধনিয়ানকে মিথুন অবশ্য ধরে খেলার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি অবশ্য ১৯ বলে ২৪ রান করে আউট হয়ে ফেরেন। শেষ দিকে রায়ান বার্ল অবশ্য হ্যারি টেক্টরের সঙ্গে জুটি গড়ে দুর্দান্ত এক ইনিংসে দলের জয় নিশ্চিত করে। হ্যারি টেক্টর ৫২ বলে ৬১ রান করে আউট হয়ে ফিরলেও ১৬ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত ছিলেন রায়ান বার্ল। খুলনার হয়ে মার্ক দিয়াল ৩টি ও নাহিদুল ইসলাম, সুমন খান একটি করে উইকেট নেন।