আজ শুক্রবার সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে রংপুর রাইডার্স ও খুলনা টাইগার্স। টস জিতে আগে বোলিং বেছে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। রংপুর রাইডার্সের একাদশে এক ম্যাচ বিরতি নিয়ে ফিরেছেন তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। চোখের চিকিৎসার জন্য ঢাকা পর্বে রংপুরের শেষ ম্যাচ খেলেননি তিনি।
দুই দলই ঢাকা পর্বে দুটি করে ম্যাচ খেলেছে। দুই ম্যাচই জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে খুলনা। অন্যদিকে দুই ম্যাচের একটিতে হার ও একটিতে জয় নিয়ে টেবিলের তিনে আছে রংপুর।
আজ তাদের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পরস্পরের। এতে খুলনা টাইগার্স ২৮ রানে জিতে এখনো নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।
এরআগে, দুপুরে খুলনা টাইগার্স ব্যাট করতে নেমে পুরো ২০ ওভার খেলে ৬ ইউকেট হারিয়ে ১৬০ রান করে। দলের দেশি ক্রিকেটার এনামুল, জয় ও আফিফ ব্যাটিংয়ে উল্লেখ করার মতো কিছু না করতে পারলেও বিদেশী ক্রিকেটার পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ ৩৪ বলে ৩ ছয় ও ৫ চারে ৫৫ রান, শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার দাসুন সানাকা ৩৩ বলে ১ ছয় ও ৫ চারে ৪০ রান ও ৩৪ বলে ৩ ছয় ও ৫ চারে ৫৫ রান, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার এভিন লুইস ২৫ বলে ৩ ছয় ও ৩ চারে ৩৭ রান করেন। তবে ব্যাটিংয়ে দেশি ক্রিকেটাররা নিষ্প্রভ থাকলে বোলিংয়ে হাসান মাহমুদ ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৯ রানে ৩ ইউকেট, মেহেদি হাসান ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২০ রানে ২ ইউকেট পান।
অন্যদিকে, ১৬১ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ৬ রানে পাকিস্তানি ব্যাটার বাবর আজম আউট হওয়ার পরে আর রংপুর রাইডার্স খেলায় ফিরতে পারেনি। নিয়মিত বিরতে পরতে থাকে ইউকেট। রনি তালুকদার ও শামীম হোসেনের ৩২ বলে ৩৮ রানের জুটিই উল্লেখযোগ্য। রংপুর রাইডার্সের দেশি ক্রিকেটার কেউ-ই ব্যাটিং উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারেন নি। আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাবীই দলের পক্ষে সবোর্চ্চ রান করেন। নাবী ৩০ বলে ৩ ছয় ও ৪ চারে ৫০ রান আউট হন। তার আউটের মধ্য দিয়ে রংপুর রাইডার্স এর ইনিংস সমাপ্ত হয়।
বোলিং সাইডে ১০ ইউকেটের মধ্যে ৮ ইউকেট নেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। দাসুন সানাকা ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৬ রান দিয়ে ৪ ইউকেট, মোহাম্মদ নওয়াজ ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৩ রান দিয়ে ২ ইউকেট, আরেক পাকিস্তানি ওয়াসিম জুনিয়র ৩.৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩১ রান দিয়ে ২ ইউকেট ও সিলেটি ক্রিকেটার নাসুম আহমেদ ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৫ রান দিয়ে ১ ইউকেট পান।