আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর অবশেষে জয়ের ধারায় ফিরেছে বাংলাদেশ। মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭৪ রানে পরাজিত করে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল মেহেদি হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন দলটি।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দল ৪৯ ওভার ৪ বলে ২০৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন তাওহিদ হৃদয়। এছাড়া অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৪৬ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। একটা পর্যায়ে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রান ২০০ পার হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হলেও, শেষদিকে রিশাদ হোসেনের ১৩ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ পায় টাইগাররা।
২০৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৯ ওভারে ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায়। সফরকারীদের পক্ষে ব্র্যান্ডন কিং সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন। বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ছিলেন লেগ-স্পিনার রিশাদ হোসেন। তিনি ৯ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট শিকার করে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন এবং বাংলাদেশের কোনো স্পিনারের ওয়ানডেতে এটিই সেরা বোলিং ফিগার। এই অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে তিনি একাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দেন এবং ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল। দলীয় ৮ রানেই সাইফ হাসান (৩) ও সৌম্য সরকার (৪) সাজঘরে ফেরেন। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত (৩২) ও তাওহিদ হৃদয় ৭১ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন। হৃদয় তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম অর্ধশতক তুলে নেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং এবং আলিক আথানাজে। তারা উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ রান যোগ করেন।[2] কিন্তু রিশাদ হোসেন বোলিংয়ে এসে এই জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। রিশাদ একে একে আথানাজে (২৭), কেসি কার্টি (৯), ব্র্যান্ডন কিং (৪৪), শেরফান রাদারফোর্ড (০), রস্টন চেজ (৬) এবং জেডন সিলসকে (৩) আউট করে তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফারসহ মোট ৬টি উইকেট তুলে নেন।