বিপিএলে ঢাকার দ্বিতীয় পর্বের খেলায় ২৭ তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সাকিবদের রংপুর রাইডার্স বনাম শুভাগত হোমের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এই ম্যাচে রংপুর টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। রংপুরের দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও রিজা হেনড্রিক্স পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত শুরু এনে দেয়। পাওয়ার প্লেতেই দলীয় ফিফটি পার করেন এই দুই ব্যাটার।
দলীয় ৬১ রানের মাথায় রনি তালুকদার ক্যাচ আউট হয়ে ফিরলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। রনির পরেই ব্যাটিংয়ে আসেন সাকিব আল হাসান। রিজা হেনড্রিক্স ও সাকিব আল হাসান মিলে আরো আগ্রাসী মেজাজে স্কোর বোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন। দুজনে মিলে দলের রান একশত পার করে দেন। মারমূখী ব্যাটিংয়ে রিজা হেনড্রিক্স অবশ্য এর মধ্যেই নিজের অর্ধশত তুলে নেন।
দলীয় ১২১ পার হতেই উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ তুলে আউট হয়ে ফেরেন সাকিব। এর পর অবশ্য রিজা হেনড্রিক্স ও টিকতে পারেনি। সাকিব ফেরার এক বল পরেই দলীয় ১২২ রানে তিনিও ক্যাচ আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এর পর জিম নিশিয়াম ও নুরুল হাসান সোহান অবশ্য রান তোলার গতি কমিয়ে উইকেটে সেট হওয়ার কাজ করেন। দুজনেই উইকেটে সেট হয়েই মারতে শুরু করেন। শেষ দিকে জিম নিসিয়াম ঝড়ো ইনিংসে ফিফটি পূরণ করে দলীয় রান ২০০ পার করেন। নিশাম ২৬ বলে ৫১ রান ও সোহান ২১ বলে ৩১ রান করে নির্ধারিত ২৯ ওভারে রংপুরের সংগ্রহ ২১১ রান তোলেন।
রংপুর রাইডার্স বনাম চট্টগ্রাম চালেন্জার্স
রংপুর রাইডার্স: ২১১/৩ (২০ ওভার )
২১২ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলো। জস ব্রাউন ও সৈকত আলী ওপেনিং জুটি খুব বেশি দূর এগোয়নি। ৯ বলে ১০ রান করতেই জস ব্রাউনকে সাকিব আল আহসান ফেরান বোল্ড আউট করে। এর পর টম ব্রুস নেমেও ধীর ব্যাটিংয়ে ১৩ বলে ১৪ রান করতেই ইমরান তাহিরের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন। ইমরান তাহির তার ওভারের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন। এর পর শাহাদাত হোসাইন নেমেও খুব ভালো কিছু করতে পারেনি ১৩ বলে মাত্র ৯ রান করে ফেরেন তিনিও।
অন্য ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মধ্যে এক দিকে উইকেটে থিতু হয়ে ছিলেন সৈকত আলী। যত সময় গড়িয়েছে ততই তিনি আগ্রাসী হয়ে উঠলেন। ৪২ বলে নিজের অর্ধশত পূরণ করেন এই ব্যাটার। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন কার্টিস ক্যামফার। তবে চট্টগ্রামের ১৬ ওভার শেষে ১০৮ রান হওয়ায় হারের সম্ভাবনা আগেই তৈরী হয়ে যায়। তাই চট্টগ্রামের হার ছিলো শুধুই সময়ের অপেক্ষা। শেষমেশ অবশ্য যেটা ঘটার সেটাই ঘটলো। পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন সিলেট।