ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন ইন্ডিয়া লিজেন্ডস। দুর্দান্ত এই লড়াইয়ে পাকিস্তান আগে ব্যাট করে ১৫৬ রানের টার্গেট দিলে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স শেষ ওভারের প্রথম বলেই জয় তুলে নেয়।
পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স বনাম ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্স এর মধ্যকার লিজেন্ডস ওয়ার্ল্ড কাপ এর ফাইনাল হয়ে গেলো বার্মিংহামে। এই ম্যাচে টস করতে নেমে আফ্রিদি টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত জানায়। পাকিস্তান লিজেন্ডস এর দুই ওপেনার কামরান আকমল ও শারজিল খান শুরুটা ভালোই করেছিলেন। তবে শারজিল খান ১০ বলে ১২ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরতেই ভাঙ্গে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি।
এর পর সোহাইব মাকসুদ ব্যাটিংয়ে নেমে কিছুটা আগ্রাসী ছিলেন। যদিও তিনি ১২ বলে ২১ রানের বেশি করতে পারেননি। ওপেনার কামরান আকমল ও ১৯ বলে ২৪ রান করে ফিরলে দলের হাল ধরেন শোয়েব মালিক। তিনি দেখে শুনে খেলা এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু ইউনুস খান ১১ বলে ৭ রানে ফিরলে কিছুটা চাপে পরে যায় পাকিস্তান লিজেন্ডস। মিসবাউল হক শোয়েব মালিককে কিছুটা সঙ্গ দিলেও ১৫ বলে ১৮ রান করে রিটায়ার্ড হার্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে।
শোয়েব মালিক ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন। শেষের দিকে সোহেল তানভীর ও শহীদ আফ্রিদি স্কোর বোর্ডে ২৩ রান যোগ করেন যার মধ্যে আফ্রিদি ৪ রান ও সোহেল তানভীর ৯ বলে ১৯ রান যোগ করেন। যার ফলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তোলে পাকিস্তান লিজেন্ডস।
১৫৭ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নামে ইন্ডিয়া লিজেন্ডস। শুরুতেই রবিন উথাপ্পা ও আম্বাতি রাইডু দুর্দান্ত শুরু করেও মাত্র ৮ বলে ১০ রান করে আউট হয়ে ফেরেন রবিন উথাপ্পা। এর পর সুরেশ রায়না নেমে ২ বলে ৪ রানে আউট হয়ে ফেরেন। এর পরেই আম্বাতি রাইডুর সঙ্গে যোগ দেন গুরকিরাত সিং। দুজন মিলে দুর্দান্ত ব্যাটিং শুরু করেন। এর মধ্যে আগ্রাসী ছিলেন রাইডু। মাত্র ৩০ বলেই অর্ধশত রান করে আউট হয়ে ফেরেন তিনি।
এর পর গুরকিরাত সিং ৩৩ বলে ৩৪ রানে আউট হয়ে ফিরলে জয়ের অনেকটা দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় ভারত। শেষ দিকে যুবরাজ সিং এর ২২ বলে ১৫ ও ইউসুফ পাঠান এর ১৬ বলে ৩০রান মিলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ফলে ফাইনালে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত লিজেন্ডস।