তামিম ইকবালের অবসর ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাদ্ধমে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। তামিমের হঠাৎ এমন কান্নাভেজা চোখে অবসরের সিদ্ধান্ত কেউ মেনে নিতে পারছে না। তাই তামিমকে নিয়ে সারা বাংলার ক্রিকেট ভক্ত সহ সকল সাধারণ মানুষ নানা রকম পোস্ট করে নিজ স্থান থেকে করে যাচ্ছেন মন্তব্য। তামিমকে নিয়ে করা যেকোনো পোস্টের নিচে কমেন্টে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের এমন হঠাৎ অবসর নতুন কিছু নয়। এর আগেও ক্রিকেটার মাশরাফিকে নিয়ে চলেছে নানা নাটক। তামিম ইকবাল বাংলাদেশ ক্রিকেটের পেছনে দীর্ঘ সময় কাটালেও এমন অবসর কেউ আশা করেনি।
তামিম ইকবাল নিজেও ঠিক কি কারণে অবসরের ঘোষণা দিলেন এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। সেই সাথে গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে আর কোনো আলোচনা করতেও বারণ করেছেন।
কিন্তু যেহেতু এটি দেশের ক্রিকেটের বড় ইস্যু তাই এর কারণ জানতে সাধারণ জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তাই দর্শকদের আগ্রহ থেকে গণমাধ্যম ক্রিকেট কর্তা নাজমুল হাসান পাপনের বেক্সিমকোর অফিসে দুপুর থেকে ভিড় জমায় এর কারণ জানতে। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও কথা বলেননি নাজমুল হাসান পাপন। বিকেল ৫ টার দিকে অফিসিয়ালি পাপন জানান, রাত ১০ টায় এ বিষয় নিয়ে হোটেল ওয়েস্টিনে তিনি জরুরি বৈঠক করবেন। বোর্ড মিটিংয়ের পরে রাত ১১ টায় এ বিষয় নিয়ে তিনি গণমাধ্যমের সাথে কথা বলবেন।
এর আগে দুপুরে প্রেস মিটিং ডেকে তামিম সবাইকে জানান
আমি হুট্ করে এই সিদ্ধান্ত নেই নাই। আমি আমার পরিবারের সাথেও এই বিষয়ে কথা বলেছি। আমি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। এটাই সঠিক সময় অবসর নেয়ার।
ধন্যবাদ জানিয়েছেন নিজের যেই চাচার যার হাত ধরে ক্রিকেটে এসেছেন। ধন্যবাদ জানিয়েছেন সকল সতীর্থদের। যাদের সাথে এতো বছর ক্রিকেট খেলেছেন।
তামিম আরো বলেছেন আমি যতদিন খেলেছি আমার পুরোটা দেয়ার চেষ্টা করেছি, কতটা পেরেছি আমি জানি না। তামিম মিডিয়ার কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন এতো স্বল্প সময়ে এতো বড় ডিসিশন নেয়ার বিষয়ে। অনুরোধ করেছেন খেলোয়াড়দের নিয়ে খারাপ লেখেন, ভালো লেখেন ক্রিকেট নিয়েই লিখতে।
তামিম নিজের মা, ভাই, স্ত্রী-সন্তানদেরকেও ধন্যবাদ দিতে ভুল করেননি।