সৌম্য প্রমান দিলেন এভাবেও ফিরে আসা যায়। নিজের বাজে ফর্মের জন্য অবহেলিত সৌম্য দীর্ঘদিন নিজের সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে ফিরেছেন নিজ মহিমায়। গ্লোবাল সুপার লিগে সৌম্য জাত চিনিয়েছেন নিজের। ফাইনাল ম্যাচে দুর্দান্ত এক ইনিংস ও খেলেছেন সৌম্য। মাত্র ৫৪ বলে ৮৬ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন সৌম্য সরকার। ওপেনিংয়ে স্টিভেন টেলর কে সাথে নিয়ে জুটি বেঁধে একের পর এক ৬ চারের মারে ঝড় তুলেছেন দুজন। ফাইনাল ম্যাচে ওপেনিং ব্যাটারদের এমন পারফর্মেন্স নিশ্চই আশা করেনি রংপুর। ওপেনিং জুটি ১০০ রানের গন্ডিও পেরিয়েছিলেন। স্টিভেন টেলর ৪৯ বলে ৬৮ রান করেছিলেন। যেখানে তিনি সমান সংখক ৪ টি করে চার ছয় মেরেছেন। অন্য দিকে সৌম্য সরকার ৫ টি ছয় ও ৭টি চারের মারে ৫৪ বলে খেলেছেন ৮৬ রানের এক বিরল ইনিংস।
একদিন পরেই বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওডিআই ম্যাচ শুরু। তার আগের দিন জাতীয় দলের ৩ খেলোয়াড় গ্লোবাল সুপার লিগে। বিসিবির অবস্থান কোথায় হওয়া উচিত ছিলো?
রংপুর রাইডার্স গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে। জাতীয় দলের ৩ খেলোয়াড় সেখানে রংপুর রাইডার্সের হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন। 8 ডিসেম্বর সেন্ট কিটসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের আগে, আজ গ্লোবাল সুপার লীগের ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে রংপুরের ফাইনাল। রিশাদ হোসেন, আফিফ হোসেন এবং সৌম্য সরকারকে তাই দলে ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিলো বিসিবি। এই ৩ খেলোয়াড়ই প্রতিযোগিতায় রংপুরের সবকটি ম্যাচ খেলেছিল, এবং বাংলাদেশের ওডিআই স্কোয়াডের অংশ হওয়া সত্ত্বেও তারা ফাইনালে খেলার সুযোগ পায়।
প্রভিডেন্সে লাহোর কালান্দার্সকে হারিয়ে জিএসএল ফাইনালে উঠেছে রংপুর। সেই ম্যাচের পরে, আফিফ, রিশাদ এবং সৌম্যকে দলে রাখতে বিসিবির কাছে আবেদন করে রংপুর। যা অবশ্য মঞ্জুর হয়।
আফিফের ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনওসি রয়েছে, তাই তিনি জিএসএল ফাইনাল খেলার যোগ্য ছিলেন। তবে সৌম্য ও রিশাদের এনওসির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং আলোচনা ছিলো বিসিবি রংপুরের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে কি না। কিন্তু শেষ সময়ে দেখা গেলো ৩ জন রংপুর রাইডার্সের হয়ে ফাইনাল খেলতে মাঠে নেমেছেন।
টুর্নামেন্টের নিয়মে বলা হয়েছে যে একটি দল সর্বোচ্চ পাঁচজন বিদেশী খেলোয়াড় এবং ন্যূনতম ছয়জন স্থানীয় খেলোয়াড়কে মাঠে নামাতে পারবে। রংপুর বলেছিল, বিসিবি বাংলাদেশের তিন খেলোয়াড়কে সরিয়ে নিলে তাদের ফাইনাল হারাতে হতে পারে।
রংপুর রাইডার্সের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তারা তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকলে রংপুরকে মাঠে না নেমেও ফাইনাল ম্যাচটি হারাতে হবে।” “এ ধরনের ঘটনা নিঃসন্দেহে বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুনামকে ক্ষুন্ন করবে, কারণ খেলোয়াড়ের অভাবের কারণে একটি দলের ফাইনাল মিস করা খুবই বিরল।
“তাছাড়া, জিএসএলে, রংপুর শুধু নিজেদের নয়, সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। তাই এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্যও গভীর হতাশাজনক হবে।”
রংপুর অবশ্য তাদের কথার প্রমান কাজে দেখিয়েছে। ফাইনালে সৌম্য সরকার খেলেছেন ৮৬ রানের বিরল এক ইনিংস। যা ছিলো দলের হয়ে সর্ব্বোচ্চ।