ঢাকা পর্বের প্রথমার্ধের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলো ফরচুন বরিশাল বনাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এই ম্যাচে কুমিল্লার লিটন দাস টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় তামিমের বরিশালকে।
বরিশালের হয়ে এই ম্যাচে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামেন তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু বরিশালের প্রথম প্লানই ভেস্তে যায়। গোল্ডেন ডাক মেরে আউট হয়ে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পরের ব্যাটার হিসেবে প্রীতম কুমার ব্যাটিংয়ে আসলেও তিনি ও ব্যার্থ হয়ে ফেরেন। তিনি করেন মাত্র ৮ রান।
এর পর তামিমকে সঙ্গ দিতে ব্যাটিংয়ে আসেন সৌম্য সরকার। তামিম-সৌম্য দেখে খেলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু এই জুটি বেশিদূর এগোতে পারেনি। ১৬ বল খেলে ১৯ রান করে আউট হয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল। এর পর অবশ্য মুশফিকুর রহিম ব্যাটিংয়ে আসলে ব্যাটিংয়ের চেহারাটাই পাল্টে যায়। মুশফিক-সৌম্য জুটি চার দিকে বাউন্ডারি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের রান ১০০ পার করে ফেলেন। কিন্তু মুস্তাফিজের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় সৌম্যকে। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৩১ বলে ৪২ রান করে আউট হয়ে ফেরেন তিনি।
এর পর সোয়েব মালিক উইকেটে আসলেও থিতু হতে পারেননি। ৭ রান করে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি। এর পর মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে মুশফিক ইনিংস এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মাত্র ৪ রান করে মুস্তাফিজের দুর্দান্ত এক ক্যাচে আউট হয়ে ফিরতে হয় সাইলেন্ট কিলার মাহমুদুল্লাহকে।
এর পর অবশ্য আর কোনো ব্যাটার না থাকায় মুশফিক কারো উপর ভরসা না করে একই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রান বাড়াতে থাকেন। মুস্তাফিজের এক ওভারে পর পর তিনটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজের অর্ধশত পূরণ করেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিক। শেষ ওভারে ছক্কা মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ তুলে ৪৪ বলে ৬২ রান করেই আউট হয়ে ফেরেন মুশফিক। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান তোলে ফরচুন বরিশাল।