মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শীতের সন্ধ্যায় ঝড় তুলেছেন সাকিব আল হাসান। সেই ঝড়ে শীতের সন্ধ্যায়ও উষ্ণ হয়ে গেছে স্টেডিয়াম। ফরচুন বরিশালের হয়ে ব্যাট হাতে সাকিব ঝড়ে উড়ছে দলটিও।
এদিন টসে জিতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে সাকিবের দল ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। যদিও মিরপুরের মাঠে শীতের রাতে ফিল্ডিংটাই সবাই আগে বেছে নেন।
তবে অধিনায়ক মিরাজের সিদ্ধান্ত যথার্থ প্রমাণ করেন বরিশালের ব্যাটসম্যানরা। এরমধ্যে সাকিব ছিলেন সবচেয়ে বেশি বিধ্বংসী। মাত্র ২৬ বলে ফিফটি তুলে নেন জাতীয় দলের এই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
৫ চার ও ১ ছয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন সাকিব। ফিফটি পূর্ণ করেই পরের তিন বল থেকে টানা ২ চার ও ১ ছয়ে আরও ১৪ রান নিজের নামের পাশে যোগ করেন এই ক্রিকেটার।
কোনো বোলারই সাকিবের সামনে টিকতে পারছিলো না। এর পর ১৯তম ওভারে সাকিবের বিপক্ষে বোলিংয়ে আসেন মাশরাফি। মাশরাফির সেই ওভারের প্রথম বলেই আমিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব। সাত ৪ আর ৪ ছয়ের মারে ৩২ বলে ৬৭ রান করে ফিরে যান সাকিব।
এর আগে সাকিব ঘটিয়েছেন আরেক কান্ড। একে তো ‘ডিআরএস’ নেই। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে আম্পায়ারদের ভুল। দুয়ে মিলে বিপিএলে বিতর্ক বেড়েই চলছে। আজ (শনিবার) দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডোমিনেটর্সের টপঅর্ডার সৌম্য সরকারের বিপক্ষে ভুল লেগবিফোর উইকেটের সিদ্ধান্ত দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন আম্পায়ার গাজী সোহেল। সেই সিদ্ধান্ত বদলে নেওয়ায় ফের তৈরি হয় বিতর্ক।
পরের ম্যাচে আবার ভুল করে বিতর্কের জন্ম দিলেন আরেক আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান লিটু। ফরচুন বরিশালের সাকিবের বিপক্ষে সিলেট স্ট্রাইকার্সের পেসার রেজাউর রহমান রাজার বল মাথার প্রায় ২ ফুট ওপর দিয়ে গেলেও আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান লিটু ওয়াইড ডাকেননি।
ক্ষুব্ধ সাকিব তেড়ে গিয়ে আম্পায়ার লিটুকে চার্জ করেন। এটা কি ওয়াইড নয়? খালি চোখে মনে হচ্ছিল, সাকিব একটু বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন। প্রথমে অনেকে ভেবেছিলেন, আবার কোনো অঘটন ঘটে কি না!
তবে বড় কিছু হয়নি। সাকিব তেড়ে গেলেও বড় কোনো অঘটন ঘটাননি। শুধু ঝাঁঝালো কণ্ঠে আম্পায়ারকে জিজ্ঞেস করেন, এটা কি ওয়াইড ছিল না? তার পরেই মাহমুদুল্লাহ তাকে টেনে সরিয়ে আনেন।