ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজ থেকে জাতীয় দলের ড্রেসিংরুম সুস্থ ধারায় চলবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ক্রিকবাজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নাজমুল হাসান পাপন এ আশা ব্যাক্ত করেন।
নাজমুল হাসান পাপনাকে প্রশ্ন করা হয়: এটা একটা ওপেন সিক্রেট যে সাকিব ও তামিমের মধ্যে একটা ফাটল রয়েছে এবং জল্পনা রয়েছে যে তারা কথা বলে না এবং পেশাদারিত্বের খাতিরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। আপনি কি মনে করেন তাদের ঝগড়ার সমাধান করা যেতে পারে এবং আপনি কি মনে করেন এতে ড্রেসিংরুমের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকে?
উত্তরে পাপন বলেন “এটি একটি স্বাস্থ্যকর ড্রেসিং রুম নয়, এটি আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিতে পারি। সাকিব ও তামিমের মধ্যে ঝগড়ার ব্যাপারটা এমন নয় যে, আমি এটা সমাধানের চেষ্টা করিনি। আমি তাদের উভয়ের সাথে কথা বলেছি এবং আমি বুঝতে পেরেছি যে তাদের এই সমস্যা সমাধান করা সহজ নয়। আমি তাদের উভয়কেই একটি বার্তা দিয়েছিলাম – আমরা জানি না তোমাদের মধ্যে কী চলছে, তবে তোমরা যে গেম বা সিরিজ খেলবে, তাতে যেনো তোমাদের এই ঝগড়ার প্রভাব না পরে। তারা দুজনেই আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলো যে খেলার মাঠে তাদের ঝগড়ার প্রভাব পরবে না।”
পাপনের কাছে আরো জানতে চাওয়া হয় জাতীয় দলেও গ্রুপিং আছে কি না নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়দের মধ্যে?
উত্তরে পাপন বলেন “বাংলাদেশ ক্রিকেটে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা এই গ্রুপিং এবং এটাই বাস্তবতা। আমার আর কিছুতে সমস্যা নেই। আমি শুধুমাত্র এই গ্রুপিং টাকেই ভয় পাই এবং আমি নিজেও এই বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে জানতে পেরেছি। এমনকি বিশ্বকাপেও আমি ওদের হোটেলে না থাকার পরও যা দেখেছি শুনেছি… বিশ্বাস করতে পারছি না এটা কিভাবে সম্ভব। আমরা যদি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুন্দর ভবিষ্যত দেখতে চাই তবে আমাদের এটির অবসান ঘটাতে হবে কারণ একটি জিনিস সবাইকে বুঝতে হবে যে গ্রুপিং করার সুযোগ নেই।
এর পর পাপনকে প্রশ্ন করা হয় আপনি যদি গ্রুপিং বন্ধ করে দেন, তার পরেও কি এটা দেখতে খারাপ লাগে না, যে দুইজন খেলোয়ার কথা বলেন না?
উত্তরে পাপন বলেন সাকিব ও তামিমকে মাঠে এবং ড্রেসিংরুমেও কথা বলতে হয়। তবে মাঠে কথা বললেও ড্রেসিংরুমের পরিবেশ খুব একটা ভালো ছিলো না। এই সিরিজ থেকে (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজ) আমি অন্তত ড্রেসিংরুমে তাদের সম্পর্ক পরিবর্তন করতে চাই। তারা বাইরে যা করে তা আমার জন্য চিন্তার বিষয় নয়। কিন্তু মাঠে ও ড্রেসিং রুমের বিষয়টি আমাদের জন্য গুরুত্বপর্ণ।