১৭৬ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস ও সুনীল নারিন ভালো শুরু করতে পারে নি। সুনীল নারিন ৫ বল খেলে ১০ রান করে রুবেল হোসেনের বলে আউট হয়ে ফেরেন। এর পর ইমরুল কায়েস নেমেও উইকেটে টিকতে পারেন নাই। তিনি ৩ বল খেলে ২ রান করে ফেরেন। এর পর জনসন চার্লস নেমে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। লিটন-চার্লসের জুটি কুমিল্লাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে সিলেট স্ট্রাইকার্স। সিলেটের হয়ে এদিন ওপেন করতে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। কিন্তু শুরুতেই ঘটে দুর্ঘটনা। তৌহিদ হৃদয় ২ বল মোকাবেলা করে তানভীর ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। এর পর মাশরাফি ব্যাটিংয়ে আসে। তিনিও আন্দ্রে রাসেলের বলে ৪ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে যান।
এর পর মুশফিক নেমে হাল ধরার চেষ্টা করেন। তিনি তার লক্ষে সফলতাও পান। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রাহিম এর পর প্রতিরোধ গড়ে তুলে দুর্দান্ত খেলতে থাকেন। শান্ত ও মুশফিক দুজনেই নিজেদের অর্ধশত পূরণ করেন।
শান্ত ৪৫ বল খেলে ৬৪ রান করে আউট হয়ে যান। অন্যদিকে মুশফিক ৪৮ বল খেলে ৭৫ রান করে ফেরেন। শেষের দিকে রায়ান বার্লের ১৩ ও জর্জ লিন্ডের ৬ বলে ৯ রান ছাড়া আর কেউ তেমন কিছুই করতে পারেন নি। দলীয় ১৭৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানের লক্ষ ছুড়ে দেয় সিলেট।
কুমিল্লার হয়ে মুস্তাফিজ ২টি ও আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, মঈন আলী, তানভীর ইসলাম সবাই একটি করে উইকেট তোলেন।
সিলেট স্ট্রাইকার্স : ১৭৫/৭ (২০ ওভার)