বিশ্বকাপ জেতা শুধু ট্রফি জয়ের চাইতেও বেশি কিছু। এটি একটি অতুলনীয় অনুভূতি যা সময়ের সাথে সাথে প্রজন্ম পেরিয়ে ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করে।
ক্লাইভ লয়েড, কপিল দেব, অ্যালান বর্ডার, ইমরান খান, অর্জুনা রানাতুঙ্গা, স্টিভ ওয়া, রিকি পন্টিং, এমএস ধোনি, মাইকেল ক্লার্কের মতো ক্রিকেট কিংবদন্তি এবং তাদের দল ইতিহাসে তাদের নাম লিখেছে। আবারো তেমনি একটি ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন রোহিত শর্মা ও পাট কামিন্স।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনাল ঘিরে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 130,000 আসনের এই ভেন্যুতে শেষ লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া।
দুই অধিনায়কই শনিবার আহমেদাবাদের ঐতিহাসিক আদালাজ স্টেপওয়েল*-এ ঐতিহ্যবাহী প্রাক-ফাইনাল ফটোতে অংশ নিয়েছিলেন। আদালাজ স্টেপওয়েল বা রুদাবাই স্টেপওয়েল হল ভারতের গুজরাট রাজ্যের গান্ধীনগর শহরের কাছাকাছি আদালাজের ছোট্ট শহরটিতে অবস্থিত একটি স্টেপওয়েল। এটি 1498 সালে রানা বীর সিংয়ের স্মৃতিতে তার স্ত্রী রানী রুদাদেবী দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। বিশ্বকাপ ২০২৩ এর ফাইনাল ফটোশুট তাই এই ঐতিহাসিক জায়গাতেই করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দশটি ম্যাচেই অপরাজিত ভারত। বিরাট কোহলি রান চার্টে সবার উপরে আছেন এবং শীর্ষস্থানীয় উইকেট সংগ্রাহক হিসাবে মহম্মদ শামি আছেন। সব মিলিয়ে এই বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের পারফর্মেন্স ছিলো চোখে পরার মত। অধিনায়ক হিসেবে তো বটেই রোহিত শর্মা এবার ব্যাট হাতেও আছেন ফর্মে। সব মিলিয়ে ভালো একটা অবস্থানে আছে ভারত।
অস্ট্রেলিয়া, পাঁচটি বিশ্বকাপ জয়ের সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং আটটি ফাইনালে খেলার কৃতিত্ব নিয়ে একটি শক্তিশালী দল হিসেবেই পরিচিত।
যদিও এই বিশ্বকাপের শুরুতে প্রথম দিকে দুটি পরাজয়ের মুখোমুখি হয়ে হোঁচট খেয়েছিলেন। তবে এর পর আর কোনো ভুল করেনি পাট কামিন্সের দল।
টানা আটটি ম্যাচ জিতে প্যাট কামিন্স এবং তার দল এখন ফাইনালে। অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মিচেল মার্শ জ্বলে উঠলেই পাল্টে দিতে পারেন সব সমীকরণ।
তবে ভারতের অপরাজিত ধারাকে থামাতে সক্ষম একমাত্র দল হিসেবে, চাপের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্স তাদের বৈশিষ্ট্য।
তবে ফাইনালে একটু চাপেই থাকবে অস্ট্রেলিয়া কেননা ১ লক্ষ ৩০ হাজার ভারতীয় দর্শকের মাঝে পারফর্ম করা সত্যিই কঠিন। তবে অস্ট্রেলিয়ার চাপের মধ্যে
তাদের দক্ষতা দিয়েই পারফরম করতে চাইছে। তেমনটাই জানিয়েছেন অধিনায়ক কামিন্স।
আর কিছু সময় অপেক্ষা তার পরেই শুরু হয়ে যাচ্ছে এই মহরণ।