দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ ফরচুন বরিশাল বনাম খুলনা টাইগার্সের মধ্যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও খুলনার অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় টস করতে আসেন। খুলনা টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
ফরচুন বরিশালের হয়ে তামিম ইকবাল ও ইব্রাহিম জাদরান। কিন্তু শুরুতে ইব্রাহিম জাদরান করে বসলেন ভুল। বাউন্স বলে টপ এজ হয়ে উইকেট কিপারের গ্লাভসে বল দিয়ে ফিরলেন প্যাভিলিয়নে। মাত্র ১১ রানেই ফেরেন জাদরান। এর পর উইকেটে আসেন সৌম্য সরকার। সৌম্য এসেই মেরে খেলা শুরু করেন। অপর দিকে থাকা তামিম ইকবালও সৌম্যর সাথে তাল মিলিয়ে চার ছক্কা মারা শুরু করেন। দুজন মিলে দুর্দান্ত জুটি গড়ে দলের রানকেপঞ্চাশউর্দ্ধ স্থানে নিয়ে যান। কিন্তু সৌম্য রান নিতে গিয়ে তামিমের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফিরে যান।
সৌম্যর ফেরার পর তামিমকে সঙ্গ দিতে আসেন মুশফিকুর রাহিম। সৌম্যর আউটের পরেও রানের গতি কমতে দেননি তামিম-মুশফিক। দুজনে একই গতিতে রান তুলতে থাকেন।
কিন্তু দলীয় ১১৭ রানের মাথায় আউট হয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল। ৩৩ বল মোকাবেলা করে ৪০ রান করে আউট হন তামিম। তামিম এর পর উইকেটে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদ-মুশফিক দুই ভায়রা ভাই এর পর দেখে শুনে খেলতে থাকেন। যদিও তামিমের আউটের পর রানের গতি একটু কমে যায়।
তামিম তার ফিফটি পূরণ করতে ব্যার্থ হলেও মুশফিক সেই ভুলটি করেনি। মাত্র ৩২ বল খেলেই মুশফিক তুলে নেন তার হাফ সেঞ্চুরি।
মুশফিকের অর্ধশত রানের পর রিয়াদ মুশফিক আরো আগ্রাসী হয়ে ওঠে। দুজনার পার্টনারশিপে ৫০ এর উর্ধে রান যোগ হয়। ১৯ তম ওভারে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ। ১৮ বলে ২৭ রান করে ফেরেন তিনি।
মুশফিক ৬৮ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। সোয়েব মালিক ৫ রান করেন। ফলে নির্ধাতির ২০ ওভারে ১৮৭ রান তোলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।