আমেরিকা
সহ-আয়োজক USA এবছরই প্রথম T20 বিশ্বকাপে আত্মপ্রকাশ করছে, টেক্সাসে কানাডার বিরুদ্ধে উদ্বোধনী ম্যাচ দিয়ে নিজেদের জানান দেবেন তারা।
মাত্র পাঁচ বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলে তারা আত্মপ্রকাশ করেছিলো, কিন্তু আমেরিকান ক্রিকেট খুব অল্প সময়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, সেই বছরের শেষের দিকে কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম জয় এসেছিলো।
এর পর টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম জয়টি ২০২১ সালে এসেছিল, বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে তারা প্রস্তুত চমক দেখতে।
তাদের ব্যাটিং লাইন-আপ আরো মজবুত করতে ব্যাটার অ্যারন জোন্স তাদের দলে যোগ দিয়েছেন। ওডিআইতে তার সর্বোচ্চ স্কোর ১২৩* . ধারণা করা হচ্ছে তিনিই ইউএসএ এর ঢাল হতে যাচ্ছেন।
কানাডা
কানাডা ২০২৪ সালে এসে টি২০ বিশ্বকাপে অভিষেকের জন্য প্রস্তুত হলেও বিশ্ব মঞ্চে কোন অপরিচিত দল নয়। ২০১১ সল্ থেকে এখন পর্যন্ত তারা চার বার বিশ্বকাপে উপস্থিত হয়েছিল।
তারা কখনই গ্রুপ পর্বে উর্ত্তীর্ণ হতে পারেনি কিন্তু এবার বাছাইপর্বে জয় লাভ করে বিশ্বকাপে উত্তর আমেরিকার মাটিতে চমক দেখাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
ইউএসএ-র বিরুদ্ধে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে কানাডা।
ওঅলরাউন্ডার হর্ষ ঠাকরের ব্যাট বা বল হাতে কানাডার হয়ে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রয়েছে। গত বছর সীমিত ওভারের উভয় ফরম্যাটেই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। বিশ্বকাপে দলকে চমক দেখতে তিনিও প্রস্তুত।
নামিবিয়া
আফ্রিকা বাছাইপর্বে দুর্দান্ত খেলা দেখিয়ে নামিবিয়া টানা তৃতীয়বারের মতো আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরে এসেছে।
ঈগলরা ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিষেকেই সুপার ১২-এ পৌঁছেছিল। ১২-এ নেদারল্যান্ডস এবং আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় তুলে, মাত্র অল্পের জন্য শ্রীলংকার কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিলো।
এবারো তারা নকআউট পর্বে পৌঁছানোর জন্য আশাবাদী। তবে প্রথমে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার সাথে খেলা থাকায় তাদের জন্য একটু হতাশার।
ক্যাপ্টেন গেরহার্ড ইরাসমাস হলেন সেই ব্যক্তি যে নামিবিয়াকে সবসময় ভালো কিছু উপহার দেন। এই অলরাউন্ডার প্রথম থেকেই নামিবিয়ার একজন প্রভাবশালী ক্রিকেটার। ২০২৩ সালের আইসিসি বর্ষসেরা সহযোগী ক্রিকেটার এই বিশ্বকাপেও চমক দেখাতে মুখিয়ে আছেন।
স্কটল্যান্ড
স্কটল্যান্ড চতুর্থবার আইসিসি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করছে এবং দ্বিতীয়বারের মতো নকআউট পর্যায়ে পৌঁছানোর দিকে নজর রোয়েছে তাদের।
স্কটল্যান্ড T20 বিশ্বকাপ ইউরোপ বাছাইপর্বে শীর্ষস্থান অর্জন করে টেস্ট খেলুড়ে এবং প্রতিবেশী দেশ আয়ারল্যান্ডকে ছাড়িয়ে গেছে তাই এই বিশ্বকাপে তারা আত্মবিশ্বাসী।
বোলার ব্র্যাড কুরি স্কটল্যান্ডের জন্য একজন ম্যাচ বিজয়ী হতে পারেন, ২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ইতোমধ্যে তার যোগ্যতার প্রমান দিয়েছেন। কুরি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে ১৩ রানে পাঁচ উইকেটের তুলেছিলেন তিনি যেটি সর্বকালের সেরা টি-টোয়েন্টি বোলিং পরিসংখ্যান। বিশ্বকাপে তাকে নিয়েও অনেক আশা থাকবে দলের।
ওমান
ওমান ২০২২ সালের পর আবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মঞ্চে ফিরে এসেছে, এই বিশ্বকাপে তারা চাইবে হারানো সময় পুনরুদ্ধার করতে।
ওমান কখনও বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের বাইরে যেতে পারেনি এবং এবার তারা চাইবে সেই বাধা ভাঙতে তবে গ্রুপ বি-তে তাদের চার প্রতিপক্ষের কাউকে অন্তত হারাতে পারলে তাদের সেই বাধা কাটবে।
সহ-অধিনায়ক আকিব ইলিয়াস ব্যাট-বলে তার কাজের মাধ্যমে দলকে চমক দিতে প্রস্তুত। 31 বছর বয়সী ক্রিকেটার এই স্কোয়াডের সবচেয়ে অভিজ্ঞ সদস্যদের একজন। তিনি এশিয়া বাছাইপর্বের প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন এবং সেই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি করতে চাইবেন।
পাপুয়া নিউ গিনি
পাপুয়া নিউ গিনি তাদের দ্বিতীয় আইসিসি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ফিরে এসেছে এবং তারা ২০২১-এ যে খেলা দেখিয়েছেন তার চাইতে আরও ভাল করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
মূল বিষয় হবে এই দলটি ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে পারে এবং চ্যালেঞ্জ হচ্ছে টেস্ট দেশের বিপক্ষে জয় অর্জন করতে পারে কিনা, কারণ গ্রুপ সি-তে বাকি ৩ দল টেস্ট খেলুড়ে দেশ, যা পাপুয়া নিউ গিনিকে ভাবিয়ে তুলতে পারে।
ওয়ান টু ওয়াচ: পাপুয়া নিউ গিনির হয়ে টি-টোয়েন্টিতে 34 বছর বয়সী টনি উরার চেয়ে বেশি রান আর কেউ করেননি। তার উপরেই ভরসা রাখছে দল।