বিশ্বকাপের মূল পর্বে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ ; উল্টো বাছাইপর্বে হারতে হয়েছে স্কটল্যান্ডের কাছেও। ফলে টি-টোয়েন্টি দলের খোলনলচে বদলে ফেলতে চাইছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খারাপ ফলাফলের খেসারত হিসেবে গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে চার নতুন মুখ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে। বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েছেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। চোটের জন্য নেই অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসান এবং মহম্মদ সইফুদ্দিন। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ছাড়া কোন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারই দলে নেই! তবে সাকিব, মুশফিক, তামিমদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের না থাকায় কোনও সমস্যা দেখছেন না তরুণ ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত।
আজ বুধবার ( ১৭ নভেম্বর ) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে নিজেদের সামর্থ্যের কথাই বড় করে বললেন তিনি। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন : ” আমরা এখানে যারা আছি প্রত্যেকেই সামর্থ্যবান। প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিয়ে খেলার মতো। এখন আমাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। এখানে সিনিয়র বা জুনিয়র বলে কিছু নাই। সবাই সামর্থ্যবান বলেই দলে আছি। প্রত্যেকের দায়িত্ব আছে। সেটা সমানভাবে পালন করতে হবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও পাকিস্তান পুরো টুর্নামেন্টেই দারুণ খেলেছে।
আগামী শুক্রবার থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে তারা মুখোমুখি হবো। বিশ্ব ক্রিকেট চিন্তা করলে পাকিস্তান সেরা দলগুলোর একটি। বিপিএলে ওদের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে খেলার সুযোগ হয়েছে। ওই দিক থেকে আমরা একটু আত্মবিশ্বাসী যে ওই বোলারদের মোকাবেলা করেছি বা ওই ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বল করেছি। বিশ্ব ক্রিকেটে প্রত্যেকটা দলই ভালো। চিন্তা করলে হবে না যে অনেক ভালো কিছু করবো। আমরা জাস্ট বল দেখবো, খেলবো। এত বেশি চিন্তার কিছু নেই, আমরা যেটা পারি সেটাই করবো। “
মূলত টি-টোয়েন্টি রানের খেলা হলেও স্লো খেলার খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে এটা বেশি চোখে পড়েছে। শান্ত জানালেন তিনি সেই ত্রুটি মাথায় রেখেই মাঠে নামবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন ঃ ” টি-টোয়েন্টি অবশ্যই রানের খেলা। আমি যখনই খেলি, লক্ষ্য থাকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলবো। চিন্তা থাকে প্রথম বল থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলবো। তার মানে এই নয় প্রতি বলেই মারতে থাকবো। অবশ্যই বল বিচার করে খেলবো।’
বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট হয়ে গেলো। কিন্তু সেখানে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংটাও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। তবে আসন্ন সিরিজে ভুল শুধরে উপভোগের মন্ত্রে মজে থাকতে বাংলাদেশ মরিয়া। শান্ত জানালেন সেই লক্ষ্যের কথাই, ‘ফিল্ডিংটা নিবেদনের একটা বিষয়। আমরা যারা এখানে ফিল্ডার আছি, খুব ভালো একটা ফিল্ডিং দল। ফিল্ডিং জিনিসটা হলো অনেক উপভোগ করার ব্যাপার বা নিবেদনের ব্যাপার। আশা করছি, সামনে ভালো হবে।