বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যেকার দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে নির্ধারিত সময়ে ব্যাটিং শুরু করে ভারত। আগের দিন কোনো উইকেট না হারানোয় এদিনও দুই ওপেনার ব্যাটিং করতে আসেন। কেএল রাহুল আর শুভমান গিল এদিন ধীরো শুরু করলেও জুটি বাঁধতে পারলেন না। তাইজুলের দুর্দান্ত স্পিন জাদুতে দুই ওপেনারই উইকেট বিলিয়ে বসে। অধিনায়ক কে এল রাহুল ১০ রান আর শুভমান গিল ২০ রান করে ফেরেন।
পরের দুই ব্যাটার হিসেবে ব্যাটিং করতে আসেন বিরাট কোহলি আর চেতস্বর পূজারা। দুজন মিলে ১২৮ বল মোকাবেলা করে সমান ২৪ রান তোলেন। পূজারা ২৪ রান করে আবারো সেই তাইজুলের বলেই উইকেট হারান। অন্যদিকে বিরাট কোহলি ২৪ রান করে তাসকিনের বলে উইকেট কিপার নুরুল হাসানের তালুবন্দি হন।
ঋষভ পান্ট আর শ্রেয়াস আয়ার উইকেটে এসে ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং শুরু করেন কিন্তু যত সময় যাচ্ছিলো ততই তারা মারমূখী হয়ে উঠছিলো। ৬০ ওভারের মধ্যেই তারা নিজেদের অর্ধশত রান পূরণ করেন। দুজনার মধ্যে বেশি আগ্রাসী ব্যাটিং করছিলেন ঋষভ পান্ট।
এর মধ্যে হঠাৎ তাসকিনের বলে একটি ক্যাচ উঠে দুর্দান্ত ক্যাচটি তালুবন্দি করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু মিরাজ ক্যাচটি তালুবন্দি করতে না পারায় তিনি উপুড় হয়ে মাটিতে পরে যান, যার কারণে নাকে প্রচন্ড ব্যথা পান মিরাজ। মুহূর্তেই লক্ষ করা যায় তার নাক দিয়ে দরদর করে রক্ত পড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে ফিজিও এসে তার অবস্থা দেখে মাঠের বাইরে তাকে সেবা দিতে নিয়ে যান।
এর পর দীর্ঘসময় বোলিং করেও বাংলাদেশের কোনো বোলার এই জুটি ভাঙতে পারছিলেন না। শেষমেশ আবারো ম্যাচে ফেরা সেই মেহেদী হাসান মিরাজ এই জুটি ভাঙেন। তিনি ঋষভ পান্টকে নুরুল হাসানের ক্যাচে পরিণত করেন। পান্ট ১০৪ বলে ৯৩ রান করে আউট হয়ে ফেরেন।
শ্রেয়াস আইয়ার এর সাথে ব্যাটিংয়ে আসেন অক্ষয় প্যাটেল। সাকিব আল হাসান দিনের শেষ ভাগে বোলিংয়ে আসেন তিনি বোলিংয়ে এসেই শ্রেয়াস আইয়ার, অক্ষয় প্যাটেল ও অশ্বিন কে ফেরান। শ্রেয়াস ৮৭, প্যাটেল ৪ ও অশ্বিন ফেরেন ১২ রান করে।
সবশেষ উমেশ যাদব ও সিরাজ্ দলের জন্য দুজন মিলে আরও ২১ রান যোগ করে ৩১৪ রান প্রথম ইনিংসে তুলে নেয় ভারত। যার ফলে ৮৭ রানের লিড পায় ভারত। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে শেষ বিকেলে বাংলাদেশ কোনো উইকেট হারায়নি।