অবশেষে বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে মোহাম্মাদ রিজওয়ানের। একটা কথা আছে “যেতে দিতে মন নাহি চায়, তবু যেতে দিতে হয়।” কুমিল্লার ক্রিকেটার থেকে দলের মালিক কেউই হয়তো রিজওয়ানকে বিদায় দিতে চাইছেন না। কিন্তু যেতে তো রিজওয়ানকে হবেই। কেননা শুরু হয়ে যাচ্ছে আরেক লীগ পিএসএল। একজন ক্রিকেটার তো এমনই হয়। আজ এই দেশে তো কাল আরেক দেশে। তাই যেতে তো তাকে হবেই। তবে যাওয়ার আগে রিজওয়ান সাথে যেটা জিতে নিয়ে গেলেন সেটা হলো লাখো বাঙালির মন।
পাকিস্তানী এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান বিপিএলে খেলতে এসেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে। চট্টগ্রামের পর্ব থেকে দলের সাথে যোগ দেন রিজওয়ান। এর আগে কুমিল্লা বিপিএলের শুরুটা ভালো করতে পারেনি। পর পর ম্যাচ হারায় অনেকেই ধারণা করেছিলো বিপিএল থেকে হয়তো বাদ হয়ে যেতে পারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কিন্তু রিজওয়ান দলের সাথে যোগ দিতেই যেনো দলের চেহারাটাই পাল্টে গেলো।
শুধু মাত্র একজন খেলোয়াড় হিসেবেই দলে খেলেনি রিজওয়ান। কাঁধে তুলে নিয়েছেন পুরো দলের দায়িত্ব। নিজ থেকেই মাঠে নিজে পারফর্ম করার পাশাপাশি অন্য ব্যাটসম্যানদেরও খেলিয়েছেন। শিখিয়েছে কিভাবে উইকেট ধরে মাঠে নিজেকে প্রমান করতে হয়।
কুমিল্লা দলের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস হলেও মাঠে রিজওয়ানের দায়িত্বশীল তৎপরতা দেখলে কারো বোঝার উপায় নেই অধিনায়কের দিয়ীত্বটা আসলে কার? কখনো বোলারকে বুঝিয়েছেন তো কখনো ব্যাটারকে বুঝিয়েছেন। কখনো ফিল্ডারদের ঠিক করেছেন তো কখনো উইকেটের পেছনে গ্লাভসও তুলে নিয়েছেন।
ক্রিকেট মাঠে রিজওয়ানের এমন দায়িত্ব নিতে দেখে সবাই রিজওয়ানের প্রশংসা করেছেন। একই সাথে রিজওয়ান জয় করে নিয়েছেন লাখো বাংলাদেশী ভক্তের মন।
আজ শেষ ম্যাচ খেলে রিজওয়ান মাঠ থেকেই সবার সাথে বিদায় নিয়ে নেন। সেই সাথে প্রেস কনফারেন্স থেকে ফেরার পথে দর্শকদের গ্যালারিতে হাত নাড়িয়ে তাদেরকেও বিদায় জানান এই ক্রিকেটার। পাকিস্তানে গিয়েই আবার শুরু করবেন নতুন আরেক লীগ পিএসএল।