ইংল্যান্ডের দেয়া ৩২৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তারা করতে নেমে শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলের হয়ে ওপেন করতে নামেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। কিন্তু শুরুতেই স্যাম কারেনের দুর্দান্ত এক ডেলিভারীতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্রথম বলেই আউট হয়ে ফেরেন লিটন দাস। এর পর নাজমুল হোসেন শান্ত আসেন উইকেটে। আগের ম্যাচে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে অসাধারণ পারফর্ম করা শান্ত এই ম্যাচে নেমেই ডাক মারেন। শূন্য রান করে স্যাম কারেনের দ্বিতীয় শিকার হন শান্ত। এর পর মুশফিকুর রহীম উইকেটে এসে ধরে খেলার লক্ষ্যে শুরু করলেও মাত্র ৪ রান করে তিনিও সেই স্যাম কারেনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন।
একদিকে তামিম ইকবাল দাঁড়িয়ে শুধু আশা যাওয়া দেখছিলেন। মুশফিক ফেরার পর উইকেটে আসে সাকিব আল হাসান। সাকিব-তামিম এই ম্যাচে টিকে থাকার মিশনে জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তাদের লক্ষ্য সফল হলেও বেশী দূর যায়নি এই জুটি। যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন তাতে তামিম ইকবাল ৬৫ বলে ৩৫ রান করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এর পর সাকিব তার অর্ধশত তুলে নিলেও তার পর আর বেশি দূর আগাতে পারেন নাই। তিনি ৬৯ বলে ৫৮ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হয়ে যান।
তাদের দুইজনের ফেরার পর মাহমুদুল্লাহ ও আফিফ ব্যাটিংটা সচল রাখার চেষ্টায় খেলতে থাকেন। দুজন ভালোই রান তুলছিলো কিন্তু আফিফ হঠাৎ আউট হওয়াতে অল্পতেই ভেঙে যায় এই জুটি। আফিফ ৩৩ বল মোকাবেলা করে ২৩ রান তুলতে পেরেছিলেন।
এর পর মামুদুল্লাহকে সঙ্গ দিতে উইকেটে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজ-মাহমুদুল্লাহ ধরে খেলার চেষ্টা করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মামুদুল্লাহ ৩২ রান করে আউট হতেই সকল আশা শেষ হয়ে যায়।
এর পর আর কেউ বলার মতো কিছুই করতে পারেনি। মেহেদী ৭ রান তাসকিন ১২ রান করেন। বাংলাদেশ বিশাল ব্যাবধানে হার নিয়ে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হারে ইংল্যান্ডের কাছে।