অবশেষে বহুল প্রতীক্ষার পর অপেক্ষা ফুরাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট দর্শকদের। এটা অত্যন্ত সুখকর ব্যাপার দেশের ক্রিকেট এর জন্য! আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টির মাধ্যমেই দর্শকেরা মাঠে বসে সরাসরি খেলা উপভোগ করতে পারবে।
বছর দেড়েক এর বেশি সময় যাবত গ্যালারিশূন্য মাঠে খেলছে লাল-সবুজেরা। আগামীকাল শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে মাঠে ফিরছে দর্শক। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই দেশের প্রেক্ষাপটে বাড়তি উন্মাদনা, উত্তেজনা! তাছাড়া এই লড়াইয়ে মিরপুরের গ্যালারিতে পাকিস্তানের সমর্থনও দেখা যায় হরহামেশাই! বাবর তাই বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথে বললেন – ” এদেশে ও পাকিস্তানের সমর্থক রয়েছে! ” দীর্ঘ বিরতির পর মিরপুরে দর্শক ফিরছে। দর্শকদের সামনে খেলতে পারাকে দারুণ ব্যাপার হিসেবে দেখছেন বাবর!
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল মিরপুরের মূল মাঠে অনুশীলন করলেও বিগত চার দিন যাভত মিরপুরের ক্রিকেট একাডেমিতে অনুশীলন করছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। মিরপুরের স্টেডিয়ামের এক নম্বরে গেটের পাশে একাডেমি অবস্থিতি। সেখানে গেট ও আশপাশ কালো কাপড় দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো ভেদ করে বেশ কিছু দর্শক পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের দেখতে পড়েছে হুমড়ি খেয়ে । অন্য কোনও দলের অনুশীলনে এমন আগ্রহ দেখা না গেলেও পাকিস্তানের অনুশীলনে এমনটা প্রায়ই সময় দেখা যায়।
আজ ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম বললেন : ” যখনই আমরা অনুশীলন করতে গিয়েছি, পুরো পথে লোক দাঁড়িয়ে থেকেছে, আমাদের চিয়ার আপ করেছে, হাত নাড়িয়েছে। আমার তাই মনে হয়, বাংলাদেশের পাশাপাশি আমাদেরও অনেক সমর্থক আছে এখানে। অনুশীলনের সময়ও সেখানে লোকে আমাদের দেখেছে, চিয়ার আপ করেছে। “
বাবর আজম আরও বলেন : ” কোভিডের পর এখানে প্রথমবার দর্শক প্রবেশের অনুমতি মিলেছে ; এটা দারুণ ব্যাপার! ক্রিকেটার হিসেবে এবং দল হিসেবে আমরা উপভোগ করবো এবং বাংলাদেশে আমরা যখনই এসেছি, দর্শক সবসময় আমাদের চিয়ার আপ করেছে। শুধু নিজেদের দলই নয়, পাকিস্তান দলকেও ওরা সমর্থন করেছে বেশ। এটা আমাদের বেশ ভালো লাগে এবং সহায়তাও করে। “
অন্যদিকে বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিতে একমত নন পাকিস্তান কাপ্তান বাবর। সংবাদ সম্মেলনে দলটির অধিনায়ক বাবর আজম সেই কথাই জানালেন। তিনি বলেন : ” বাংলাদেশ মোটেই সহজ প্রতিপক্ষ নয়! বিশেষ করে ঘরের মাঠে। আর সেটা তারা সাম্প্রতিক অতীতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেও দেখিয়েছে। “
নিজেদের নিয়ে বাবর আজম বলেন : ” ক্রিকেটে মোমেন্টাম খুবই জরুরি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমাদের যে মোমেন্টাম ছিল সেটা ধরে রাখবো ; রাখার চেষ্টা করবো। আমার নিজের ফর্ম নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী এবং এখানে আরও ভালো করার চেষ্টা করবো। আমি সবসময়ই শেখার জন্য প্রস্তুত থাকি এবং অনুশীলনে একটু বেশি পরিশ্রম করার চেষ্টা করি। “