এবারের বিশ্বকাপে ফিল্ডিংয়ে অবনতির জন্য ক্রিকেটারদের পাশাপাশি সমালোচনার তোপে পড়েছিলেন জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক। তবে সমালোচনা হলেও নিজের পদ ধরে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পরে শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গে সম্পর্কর ইতি টানলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের পারফরম্যান্সে অসন্তুষ্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। খবরটা গতকালই নিশ্চিত করেছেন অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান – ” ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের সাথে চুক্তি রিনিউ করছেনা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড “এরপর পর-ই বাংলাদেশ ক্রিকেট অঙ্গনে আলোচনা হচ্ছে যে, আপাতত দেশীয়দের মধ্যে পরবর্তী ফিল্ডিং কোচ কাকে নিয়োগ দেয়া হতে পারে! অবশ্য গতকাল আকরাম খান বলেছিল তাদের হাতে অর্থাৎ অপারেশন্স কমিটির হাতে বেশ কিছু নাম আছে ; তারা খুব দ্রুত নতুন ফিল্ডিং কোচ নাম ঘোষণা করবে।
অবশেষে 24 ঘন্টা ঘন্টা পার হতে না হতেই নাম ঘোষণা করলো বিসিবি। টাইগারদের নয়া ফিল্ডিং কোচ দেশীয় – ” মিজানুর রহমান বাবুল ” আপাতত পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজে এই অভিজ্ঞ কোচকে দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি।
দীর্ঘদিন ধরেই ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থা প্রায় একইরকম। হাত থেকে ছুটে যায় অসংখ্য সুযোগ। গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও তিন ম্যাচে হাতছাড়া হয়েছিল পাঁচটি ক্যাচ। মূল্যবান সময়ে ক্যাচ মিসের কারণে বেশ কিছু ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে লাল সবুজদের । বলা বাহুল্য যে, প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই কম বেশি ক্যাচ ছেড়েছেন মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুবরা।
গত দুই বছর ধরেই বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের অবস্থা খুব একটা সুখকর নয়। মাঝে মাঝেই দলের ফিল্ডিং-এর দিকে অভিযোগ উঠেছিল। 2018 সাল থেকে বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পালন করছিলেন এই প্রোটিয়ান ফিল্ডিং কোচ । 2019 সালে বিশ্বকাপে দলের ফিল্ডিং খারাপ হলেও তার সঙ্গে আরও দুই বছরের চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
মিজানুর রহমান বাবুল ঢাকা লীগের একজন জনপ্রিয় কোচ
এবছরের মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে কোচিং প্যানেলে ছিলেন তিনি।মিজানুর রহমান বাবুল এর হাত ধরেই গড়ে ওঠা এ কালের মিরাজ, শান্ত, আফিফ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের মতো তরুণ ক্রিকেটার। যুব ক্রিকেটে বাংলাদেশের অন্যতম সফল কোচ তিনি। কাজ করছেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগে।
2016 সালে অনূর্ধ্ব-19 দলের গুরু ছিলেন তিনি। ছাড়া কাজ করেছেন নারী জাতীয় দলের ব্যাটিং গুরু হিসেবে! আমাদের দেশের ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে দেশীয় কোচিং স্টাফ দিয়ে কাজ চালানোটা একেবারে মেনে নিতেই পারেন না বিসিবির উর্ধতন কর্মকর্তারা। দেশের অনেক বরেন্য ক্রিকেটাররা দেশীয় কোচিং স্টাফ এর পক্ষে আওয়াজ তুললেও বিসিবি থেকে একেবারেই সাই মেলে নাহ। তবে বহুল আলোচনা সমালোচনার পর এবার নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি।
আশাকরা যায় মিজানুর রহমান বাবুল এর অধীনে উন্নতি করবে টিম টাইগার্স!