মুশফিকদের জোবার্গ বাফেলোস টুনামেন্টের ৫ম ম্যাচে ডারবান কালান্দার্স এর বিপক্ষে মাঠে নামে। জোবার্গ বাফেলোস এই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। জোবার্গ বাফেলোস এর হয়ে এদিনও মুশফিক একাদশে ছিলেন। জোবার্গ বাফেলোস এর হয়ে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামেন টম বণ্টন ও উইল স্মিড। শুরুতেই মাত্র ৩ বল খেলে মাত্র ১ রান করে জর্জ লিন্ডের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মুশফিকদের ওপেনার স্মিড।
এর পর উইকেটে আসেন মুশফিকদের অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ ও ব্যান্টন মিলে রান তোলা শুরু করেন। কিন্তু বেশিক্ষন টিকতে পারেনি হাফিজ। চাতারার বলে আসিফ আলীর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। ৭ বল খেলে ১১ রান করেন হাফিজ।
এর পরেই উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম। আগের ম্যাচের মতোই ব্যাটিংয়ে উজ্জ্বল ছিলেন মুশফিকুর রহিম। দুর্দান্ত খেলতে থাকা ব্যান্টনকে প্রয়োজন মতোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন মুশফিক। কিন্তু আজমত উল্লার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন মুশফিক। মুশফিক দুইটি ৪ ও একটি ৬ এর মারে মাত্র ১২ বল খেলে ১৯ রানে আউট হয়ে ফেরেন। এই ম্যাচে মুশফিকের স্ট্রাইক রেট ছিলো ১৫৮.৩৩।
মুশফিক আউট হতেই ইউসুফ পাঠান ব্যাটিংয়ে আসেন। কিন্তু তিনি টি১০ ক্রিকেটের ব্যাটিং করতে পারেন নি। ৮ বল খেলে মাত্র ৪ রান করে আউট হয়ে যান তিনি।
ম্যাচের শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেন ব্যান্টন। ৩১ বল খেলে ৬ টি চার ও দুইটি ৬ মেরে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার। ফলে নির্ধারিত ১০ ওভার শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান তোলে মুশফিকদের জোবার্গ বাফেলোস।
৯৫ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় ডারবান কালান্দার্স। মাত্র ৯ বলে ৭ রান করে ফেরেন টিম সেফার্ড। ডারবান কালান্দার্সের হয়ে দলের হাল ধরেন হজরত উল্লাহ জাজাই। ৭ বল খেলে আন্দ্রে ফ্লেচার ১২ রানে আউট হলেও আসিফ আলীকে নিয়ে জয়ের দিকে এগিয়ে যায় জাজাই। জয়ের একটু আগেই মোহাম্মদ হাফিজের বলে আসিফ আলীকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মুশফিক। ১৩ বলে ২৩ রান করে আউট হয়ে ফেরেন আসিফ আলী। শেষ পর্যন্ত হজরত উল্লাহ জাজাই মুশফিকদের হারিয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে।