চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জর্স-ফরচুন বরিশাল এর মধ্যেকার ম্যাচ দিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু হয়। প্রথমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জর্স টসে জিতলে বোলিং এর সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম। অন্যদিকে টসে হেরে সাকিবদের ওপেনিং করতে মাঠে নামেন এনামুল হক বিজয় ও মেহেদী হাসান মিরাজ। বরিশালের হয়ে মেহেদী আর বিজয় শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে শুরু করেন। কিন্তু তাইজুল ইসলামের বলে ১২ বলে ২৪ রান করে জিয়াউর রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিরাজ।
এর পর উইকেটে আসেন এবারের বিপিএলের সবচাইতে আলোচিত ও বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসান। সাকিব এসেই মারমূখী ব্যাটিং শুরু করেন। প্রথম দুই বলেই দুটি চার মারেন। কিন্তু মৃত্যুঞ্জয়ের পরের বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন সাকিব। এর পর ইব্রাহিম জাদরান ও এনামুল হক বিজয় দুজনই রানের চাকা সচল রাখেন। দ্রুতগতিতে স্কোরবোর্ডে রান তুলছিলো বরিশাল।
২১ বলে ৩০ রান করে আবারো সেই জিয়াউর এর ক্যাচ হয়ে ফেরেন বিজয়। ইব্রাহিম জাদরানকে সঙ্গ দিতে এর পরে উইকেটে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মাহমুদুল্লাহ-জাদরান দুজন রান তোলার গতি আরো বাড়িয়ে দেন। ছোট একটা জুটি তৈরী হয় তাদের মধ্যে কিন্তু জিয়াউর রহমানের বলে ১৭ বলে ২৫ রান করে ক্যাচ দিয়ে মাহমুদুল্লাহ ফিরলে এই জুটি ভাঙে।
একদিকে ইব্রাহিম জাদরান অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখিয়ে উইকেটে টিকে থাকলেও অন্য দিকে উইকেটে একের পর এক আসছিলো যাচ্ছিলো। ইফতেখার আহমেদের সাথে ব্যাটিং করে তিনি হাফ সেঞ্চুরীর দিকে আগাচ্ছিলেন। ইব্রাহিম জাদরান শেষমেশ ৩৩ বলে ৪৮ রান করে ফিফটির দোরগোড়ায় গিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন।
জাদরান আউট হলে করিম জানাত আর ইফতেখার দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে লেগে যান। কিন্তু করিম জানাত ৫ বলে ৬ রান করে আউট হয়ে যান। তার জায়গায় ব্যাটিংয়ে আসেন চতুরাঙ্গা ডিসিলভা। কেউ টিকতে না পারলেও ইফতেখার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে নিজের অর্ধশত রান পূরণ করেন। তার রানে রানে ভর করে বরিশাল ৭ উইকেটে ২০২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। ২৬ বলে ৫৭ রান করে নট আউট থেকেই মাঠ ছাড়ের ইফতেখার।