বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যেকার দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলো বাংলাদেশ। মিরপুর শের এ বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করতে নামেন নাজমুল হোসাইন শান্ত ও জাকির হাসান। শুরুতেই দেখে শুনে ব্যাট করছিলেন দুই ওপেনার। দেখে মনে হচ্ছিলো দুই ওপেনার বড় পার্টনারশীপ গড়ার লক্ষেই ব্যাট করছেন। কিন্তু বেশিক্ষন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি তাদের জুটি। আবারো সেই চিরচেনা ওপেনিং এর ব্যার্থতা।
জাকির হাসান উনাদকাটার বলে কাট করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়ে বসেন কেএল রাহুলের হাতে। তাতেই ভাঙে ওপেনিং জুটি। ৩৪ বলে এক চার এর মারে ১৫ রান করে ফেরেন জাকির হাসান। আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করলেও তিনিও টিকতে পারেন নি। ভারতের অভিজ্ঞ স্পিনার অশ্বিন এর বলে এলবিডাব্লিউ এর ফাঁদে পরেন তিনি। ৫৭ বলে ৩ চারের মারে ২৪ রান করে ফেরেন শান্ত।
পরের দুই ব্যাটার হিসেবে লাঞ্চ এর আগ পর্যন্ত উইকেটে সাকিব আল হাসান ও মোমিনুল হক ব্যাটিং চালিয়ে যান। কিন্তু লাঞ্চ এর পরে মাঠে ফিরতেই ভুল করে বসেন সাকিব। উমেশ যাদব এর বলে সহজ ক্যাচ তুলে দেন পুজারার হাতে। সাকিব ফেরেন ৩৯ বলে ১৬ রান করে। সাকিব আউট হতেই উইকেটে আসেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিকুর রহিম। মোমিনুল এর সাথে মুশফিক জুটি গড়ে ব্যাটিং চালিয়ে যান।
এই জুটিও দীর্ঘক্ষণ চলেনি। আবারো সেই উনাদকাটের বলে উইকেট রক্ষক ঋষভ পান্টের কাচ হয়ে ফেরেন মুশফিক। ২৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। মুশফিকের পরেই উইকেটে আসে বর্তমান ওয়ানডে ক্যাপ্টেন লিটন দাস। কিন্তু উইকেটে থিতু হতে পারেননি এই ড্যাশিং ব্যাটার। অশ্বিনের বলে কেএল রাহুলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। তিনি যোগ করেন ২৫ রান। লিটন ফিরলে উইকেটে আসেন ওয়ানডেতে দুর্দান্ত পারফর্ম করা মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজ ১৫ রান করতেই উমেশ যাদব এর বলে উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
উইকেটের এক প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন মোমিনুল হক। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে একমাত্র ব্যাটার যিনি ভারতীয় বোলারদের দেখে শুনে বাউন্ডারির পাশপাশি সিঙ্গেল/ডাবল নিয়ে উইকেটে ধরে খেলতে থাকেন। ভারতের কোনো বোলারের কোনোরকম ফাঁদেই তিনি পা দিচ্ছিলেন না। শেষের দিকে নুরুল হাসান সোহান এর উপরে ভরসা থাকলেও তিনি সেই মান রাখতে পারেন নি। মাত্র ৬ রান করেন সোহান।
এর পর আর কেউ দাঁড়াতেই পারেননি উইকেটে। মোমিনুল সর্বোচ্চ ৮৪ রান করে আউট হতেই তাসকিন ১, তাইজুল ৪ ও খালেদ ০ রানে আউট হয়ে যান। ফলে বাংলাদেশ ৭৩.৫ ওভারে ২২৭ রান করে অল আউট হয়।এর পরে টেস্টের প্রথম দিনই ব্যাটিংয়ে নামে ইন্ডিয়া।
ভারত ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮ ওভার খেলে ১৯ রান সংগ্রহ করে।