সিরিজ জয়ের মিশনে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতেই আজ বাংলাদেশ দলের হয়ে ওপেন করতে নামেন এনামুল হক বিজয় ও ক্যাপ্টেন লিটন দাস। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যাট চালিয়ে খেলাতে শুরু করেন বিজয়। কিন্তু শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের ৯ বল খেলে ১১ রান করেই সিরাজের বলে এলবিডাব্লিউ এর ফাঁদে পা দিয়ে ফিরে যান বিজয়।
এর পরে উইকেটে আসেন বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে ০ রানে আউট হওয়া নাজমুল শান্ত। এদিন শান্ত প্রথম ম্যাচের মত ভুল না করে দেখে শুনে খেলতে থাকেন। শান্ত -লিটন দুইজন মিলে জুটি গড়ে তোলেন কিন্তু বেশিক্ষন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি এই জুটি। শুরু থেকেই লিটনকে ব্যাটিংয়ে সাবলীল দেখাচ্ছিল না। সিরাজের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে সরাসরি বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন লিটন। ২৩ বল খেলে মাত্র ৭ রান করেন লিটন।
লিটন আউট হতেই মাঠে আসেন বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসান। শুরু থেকে দেখে শুনে খেলতে দেখা যায় বাংলাদেশের এই অল রাউন্ডারকে। সাকিব-শান্তর ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিলো বড় স্কোর করার জন্যই বল দেখে খেলছেন তারা। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি। উমরান মালিকের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় শান্তকে। ৩৫ বল খেলে ২১ রান করে ফিরতে হয় শান্তকে।
শান্ত আউট হতেই পরবর্তী ব্যাটসম্যান হিসেবে মুশফিক উইকেটে আসেন। সাকিব-মুশফিক উইকেটে টিকে থাকার চেষ্টা করলেও দুজনেই ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে শেখার ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। সাকিব ২০ বলে ৮ রান আর মুশফিক ২৪ বলে ১২রান করে ফেরেন।
আফিফ হোসেন এদিন ওয়াশিংটন সুন্দরের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন। এর পর মাহমুদুল্লাহ ও শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা মেহেদী হাসান মিরাজ বেশ কিছুক্ষন খেলতে থাকনে।
মাহমুদুল্লাহ-মেহেদী বড় জুটি গড়ার দিকে আগাচ্ছিলেন। সেই লক্ষে তারা সফলতাও পেয়েছেন। বল বুঝে ছয়-চারের সাথে এক-দুইরান করেও তুলে নিচ্ছিলেন এই দুজন। ৫৫ বলে নিজের অর্ধশত রান পূরণ করেন মিরাজ। আগের ম্যাচের নায়ক এই ম্যাচেও তার সামর্থের জবাব দিলেন। ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মারে অর্ধশত রান পূরণ করেন তিনি। মাহদুল্লাহ-মিরাজ মিলে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিল।
উমরান মালিকের বলে ৯৬ বলে ৭৭ রান করে ফিরে যান মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু মেহেদী মিরাজ এর ব্যাটিং দেখে সবাই অবাক হয়ে যান। মাহমুদুল্লাহ ফেরার পর আফিফ ইনজুরির কারণে ফিরে গেলেও নাসুমকে নিয়ে অসাধারণ খেলছিলেন মিরাজ। শেষ পর্যন্ত ভারতের বিরুদ্ধে শত রান করে নট থেকেই খেলা শেষ করলেন মিরাজ। দলের সংগ্রহ দাঁড় করেন ১৭১ রান।
ভারতের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে আসেন বিরাট কোহলি আর শেখার ধাওয়ান। এবাদত হোসাইন প্রথম ওভারেই ভারতীয় শিবিরে ভয় ঢুকিয়ে দেন। কেননা তিনি প্রথম ওভারেই বোল্ড করে ফেরত পাঠান বিরাট কোহলিকে। ৬ বলে মাত্র ৫ রান করে ফিরতে হয় কোহলিকে। এর পর উইকেটে আসেন
এর পর উইকেটে আসেন শ্রেয়াস আইয়ার। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে মুস্তাফিজের শেষ বলে ক্যাচ তুলে দেন শেখর ধাওয়ান। মেহেদী হাসান মিরাজ সহজ ক্যাচ ধরে তাকে ফেরত পাঠান। শেখর ধাওয়ান ১০ বল খেলে ৮ রান করে ফেরত যান।
ওয়াশিংটন সুন্দর আর শ্রেয়াস প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষন ধরেও খেলেন তারা। শেষ পর্যন্ত সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে লিটনের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন ওয়াশিংটন। ১৯ বলে ১১ রান করে ফেরেন তিনি। ভারতের হয়ে এর পরে উইকেটে আসেন কে এল রাহুল।
এর পর দীর্ঘক্ষন রাহুল-শ্রেয়াস উইকেট ধরে রাখলেও রান তুলতে সক্ষম হচ্ছিলেন না। কিন্তু শেষ মেশ মিরাজের ঘূর্নতে এলবিডব্লিউ এর ফাঁদে পা দেন কে এল রাহুল। ২৮ বলে ১৪ রান করে ফেরেন তিনি।
ভারতের হয়ে শ্রেয়াস ১০২ বলে ৮২ রান করে মেহেদির শিকার হন। অক্ষর প্যাটেল ও অর্ধশত রান পূরণ করেন ভারতের হয়ে। ৫৬ রান করে তিনিওফিরে যান। এর পর সবাইকে অবাক করে ব্যাটিংয়ে আসেন রোহিত শর্মা। ভাঙা হাত নিয়েই ব্যাটিংয়ে নেমে পড়েছেন রোহিত শর্মা। রোহিতের মত একজন খেলোয়াড়কে নিয়ে এতো বড় রিস্ক নেয়া দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো বাংলাদেশকে এই ম্যাচে হারাতে ভারত কতটা মরিয়া হয়ে ছিলো। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নামলেও রোহিতকে দেখে মনেই হচ্ছিলো রোহিত ব্যাটিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না। কিন্তু এই ভাঙা হাত নিয়েই বাউন্ডারিও হাঁকান ভারতের ক্যাপ্টেন।